মাগুরায় আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ১০, সাত মোটরসাইকেল ভস্মীভূত
মাগুরা শহরের ভায়না এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আজ বিকেলে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ব্যাপক সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় স্থানীয় এক সাংবাদিকের মোটরসাইকেলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের সাতটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে ভস্মীভূত করা হয়েছে। বিএনপির ভায়না এলাকার অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়সহ ৪টি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাগুরা জেলা বিএনপির আয়োজনে বিকেল তিনটায় শহরের সদর উপজেলা পরিষদের সামনে বিএনপির ভায়না অস্থায়ী অফিস এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ চলছিল। সমাবেশে বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন খানের বক্তব্য চলাকালীন ভায়না মোড় থেকে আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বৃষ্টির মতো ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষের সময় ১০-১২টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করা হলেও পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
সমাবেশে উপস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নিতাই রায় চৌধুরী ফোনে অভিযোগ করেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বোমা মেরে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাতটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং দলীয় অফিসে ভাঙচুর করেছে। এ সময় ৬-৭ জন নেতাকর্মী আহত এবং বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। এ হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তদন্তপূর্বক সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবি করেন তিনি।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. ফজলুর রহমান জানান, ইটখোলার শোক দিবসের মিটিং শেষে যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে শহরে ফিরছিল। এ সময় ভায়না এলাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির অফিস থেকে শোভাযাত্রা বোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমউল্লাহ জানান, ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ দুই দিক থেকে মিছিল করতে করতে এসে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করে। পুলিশ মাঝখানে থেকে ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।