মিন্নির মৃত্যুদণ্ড না হলেও যেন যাবজ্জীবন হয় : রিফাতের বাবা
সারা দেশে আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায়ে সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। আজ বুধবার সকালে আদালত এলাকায় এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় আবদুল হালিম তাঁর পুত্রবধূ এবং এ মামলার অন্যতম আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি প্রসঙ্গে বলেন, ‘মিন্নির মৃত্যুদণ্ড না হলেও যেন যাবজ্জীবন হয়।’
আবদুল হালিম আরো বলেন, ‘এই খুনের সঙ্গে মিন্নি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সে তাঁর স্বামীকে না বাঁচিয়ে বারবার নয়নবন্ডকে আটকানোর অভিনয় করেছে, যা ভিডিওতে দৃশ্যমান। আমি মিন্নি ও মিন্নির পরিবার, বিশেষ করে মিন্নির বাবারও বিচার চাই।’
রায় ঘোষণার পর নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে আবদুল হালিম বলেন, ‘আমি বরগুনার সন্তান। আমি এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের আশঙ্কা করছি না। যদি গোয়েন্দা সংস্থা রায়ের পর প্রয়োজন মনে করে, তাহলে তারা ব্যবস্থা করবে বলে আশা করি।’
মিন্নি ছাড়া মামলার অন্য আসামিদের প্রসঙ্গে রিফাতের বাবা বলেন, ‘ওই ছেলেগুলো (রিফাত হত্যা মামলার আসামি) এখনো উঠতি বয়সী। আজ তাদের পরিবারগুলো ধ্বংসের মুখে। আমি তো ছেলে হারিয়েছি, তারাও ধ্বংসের মুখে পড়েছে। শুধু মিন্নির প্ররোচনায় এমন ঘটনা ঘটেছে।’
এরই মধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়েছেন এ মামলার অন্যতম আসামি ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে তাঁকে মোটরসাইকেলে করে আদালতে নিয়ে আসেন।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। মামলার ২৪ আসামির মধ্যে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা আজ। মামলার প্রধান আসামি মো. সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়নবন্ড গত বছরের ২ জুলাই ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। অন্য একজন আসামি মো. মুসা আগে থেকেই পলাতক।
এ মামলায় মোট ৭৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বরগুনার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ভুবন চন্দ্র হালদার। সঙ্গে ছিলেন প্যানেলভুক্ত আইনজীবী এ এম মুজিবুল হক কিসলু ও মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম, মো. শাহজাহান মিয়া, হুমায়ুন কবীর, অলি উল্ল্যাহ সবুজ ও আবদুর রহমান নান্টু।