রাঙামাটিতে কলেজছাত্রীকে কটূক্তিকারীদের বিচার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি
রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার হুমকিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্যের অভিযোগ এনে সম্প্রতি রাঙামাটির চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। সেই মামলা ‘ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা’র প্রতিবাদে, আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘কলেজছাত্রীকে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য ও পোস্টের মাধ্যমে হয়রানি করার মামলার আসামি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা অপরাধীদের আড়াল করার জন্য ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করছে। বিষয়টিকে প্রয়াত এক সাংবাদিকের পারিবারিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সমাবেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করার এত দিন পরও একজন আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ানোর কারণে মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী আয়েশা আক্তার সোনিয়া ও তার স্বামী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধেও মিথ্যাচার করছে ওই মহলটি।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মো. সাজ্জাদ হোসেন, রাঙামাটি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাঈন উদ্দিন ভুইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরিফ জিনহা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কল্যাণ মিত্র চৌধুরীসহ রাঙামাটি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেয়।
মানববন্ধন শেষে আইনগত সহযোগিতা ও প্রতিকার চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে দেওয়া একটি স্মারকলিপির কপি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের কাছে তুলে দেয় মহিলা কলেজের ছাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানি করা হয়েছে এমন অভিযোগে এশিয়ান টেলিভিশনের রাঙামাটি প্রতিনিধি মো. আলমগীর মানিক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের রাঙামাটি প্রতিনিধি জাহেদা বেগম, এবং আলমগীর মানিকের দুই সহযোগী মাসুদ পারভেজ নির্জন ও শহিদুল ইসলাম হৃদয়ের বিরুদ্ধে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন রাঙামাটি সরকারি কলেজের ওই ছাত্রী। তার স্বামী একটি জাতীয় দৈনিকের রাঙামাটি প্রতিনিধি।