রিফাত হত্যা : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির আপিলের সুযোগ ৭ কার্যদিবসের মধ্যে
বরগুনার বহুল আলোচিত মো. শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ (২৬) হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া তাঁর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় আসামিকে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হবে সাত কার্যদিবসের মধ্যেই।
এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে এ মামলা হাইকোর্টের অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স শুনানি এবং আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই দণ্ড কার্যকরের বিষয়টি আসবে। তবে আবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে বিষয়টি চূড়ান্ত রায়ের জন্য সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে যাবে।
গতকাল বুধবার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান।
এ রায়ের শেষ অংশে বলা হয়, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), মো. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯), আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে (১৯) প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ড মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত হওয়া সাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাহাদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলাইয়া রাখিয়া তাহাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করিতে নির্দেশ দেওয়া গেল।’
রায়ে বলা হয়, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিগণ আপিল করিতে ইচ্ছা পোষণ করিলে তাহাদের তাহা এই আদেশের সাত কার্যদিবসের মধ্যে দায়ের করিতে হইবে।’
এদিকে মিন্নির বাবা আপিলের রায়ের বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘রায়টি প্রহসনের রায়। আমরা রায়ে সংক্ষুব্ধ। নির্দিষ্ট সময়ে হাইকোর্টে আপিল করব।’
রায়ে খালাসপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সাইমুন (২১)।
গত বছরের ২৬ জুন প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। মামলার ২৪ আসামির মধ্যে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। যদিও মামলার প্রধান আসামি মো. সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়নবন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন এবং অন্য একজন আসামি মো. মুসা পলাতক।