বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্র বন্দরে আজ শনিবারও তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হওয়ায় গতকাল শুক্রবার এ সতর্ক বার্তা জারি করে আবহাওয়া অফিস। লঘুচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে মোংলার পশুর নদের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে শুক্রবার পানি বেড়েছিল ১৫ সেন্টিমিটার।

পশুর নদের পানি বাড়ায় পশুর ও মোংলা নদীর পাড়ের কাইনমারী, কানাইনগর, চিলা, জয়মনি ও বুড়িরডাঙ্গা এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। তলিয়ে গেছে সেসব এলাকার বসতঘরও। এসব এলাকায় অনেকটা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যদিও জোয়ারে প্লাবিত এ পানি ভাটায় নামতে শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার থেকে দিনে-রাতে দুইবার করে ডুবছে নদীর পাড়ের রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি।

এদিকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল থাকায় আজ শনিবারও দিনভর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে বন্দরে অবস্থানরত ১২টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ স্বাভাবিক রয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখরউদ্দীন বলেন, ‘তিন নম্বর সতর্ক সংকেতে এখানে পণ্য বোঝাই ও খালাসের ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় না। তাই জাহাজের কাজ সচল রয়েছে। মাঝেমধ্যে খুব বেশি বৃষ্টি হলে কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হচ্ছে।’

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, ‘লঘুচাপ ও পূর্ণিমা একসঙ্গে হওয়ায় পশুর নদ এবং সুন্দরবনের নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ২১ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এর আগে শুক্রবার বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ সেন্টিমিটার। লঘুচাপের প্রভাব ও চলতি মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত পানির এ চাপ আরও কয়েকদিন থাকার আশঙ্কা রয়েছে।’