লঞ্চে আগুনে হতাহতের ঘটনায় নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ শুক্রবার এক শোকবার্তায় নিহত ব্যক্তিদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীও পৃথক বার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী আজ শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছালে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে দগ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানান, ঢাকা থেকে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনা যাচ্ছিল এমভি অভিযান নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটি। রাতে ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুন লেগে শতাধিক যাত্রী দগ্ধ হয়।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনুল হক জানান, ভোর ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যাত্রীদের উদ্ধারে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। দগ্ধ যাত্রীদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।