লাখো মানুষের ঢল রংপুরে, সমাবেশ শুরুর অপেক্ষা
গণপরিবহণ ধর্মঘট, পথে পথে বিভিন্ন বাধা বিপত্তির পরও লাখো মানুষের ঢল নেমেছে রংপুরে বিএনপির গণসমাবেশে। আশপাশের জেলা থেকে কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ অটোরিকশা বা ভ্যানে করে আবার কেউ তিন দিন আগে থেকেই সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। আর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হবে বিএনপির এ গণসমাবেশ।
রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হবে দুপুর ২টায়। তার আগেই সমাবেশস্থল নগরীর ঈদগাহ মাঠে মানুষের ঢল নেমেছে। সমাবেশকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে। আজ শনিবার ভোর থেকেই কানায় কানায় ভরে উঠছে নগরীর ঈদগাহ মাঠ। পরিবহণ ধর্মঘট উপেক্ষা করে সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর ঈদগাহ মাঠ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠছে। দলীয় প্রতীক ধানের শীষ ছাড়াও ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন নিয়ে আসা নেতাকর্মীরা এখন সমাবেশ শুরুর অপেক্ষা করছেন।
ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিসহ মোট নয়টি দাবিতে রংপুরে গণসমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। আজ শনিবার দুপুর দুইটায় শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। গত রাত থেকে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
বিএনপি বলছে, লাখো মানুষের সমাগম হবে আজকের এই মহাসমাবেশে। তবে এই সমাবেশে কোনো ধরনের বাধা দিলে তার রাজনৈতিকভাবে জবাব দেবেন তারা।
গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া দলটির কেন্দ্রীয়-স্থানীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এরই মধ্যে রংপুরে বিভিন্ন হোটেলসহ বিভিন্ন এলাকায় উপস্থিত হয়েছেন তারা।
গত ২৬শে সেপ্টেম্বর রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় ১০ বিভাগে গণসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রথম কর্মসূচি পালন করে। এরপর ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে। সর্বশেষ ২২ অক্টোবর খুলনায় গণসমাবেশ করে বিএনপি। আজ রংপুরে, ৫ নভেম্বর বরিশালে, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিএনপির তৃতীয় ধাপের কর্মসূচি শেষ হবে। এরপর নতুন কর্মসূচি আসবে বলে জানান বিএনপি নেতারা।