লালমনিরহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী হত্যা, থানায় মামলা
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী (৬৮) হত্যার ঘটনায় শনিবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে রিফাত হাসান বাদি হয়ে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এতে একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। এর আগে ময়নাতদন্ত ও দুই দফা নামাজে জানাজা শেষে শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলীর মরদেহ দাফন করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টা থেকে ১০টার মধ্যে পাটগ্রাম পৌরসভার রসুলগঞ্জ নিউ পূর্ব পাড়ার আব্দুস সামাদের ছেলে নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু পরিকল্পিতভাবে অজ্ঞাতনামা আসামিসহ এম ওয়াজেদ আলীকে তাঁর বাড়ির সামনে পথ আটকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতের মাধ্যমে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে মামলার বাদি এজাহারে উল্লেখ করেছেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাটগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মোত্তালিব সরকারকে। এ প্রসঙ্গে মোত্তালিব সরকার জানান, মূল আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে পাটগ্রাম মহিলা কলেজ থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী ফাতেমা প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক ও অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানে বছরখানেক খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন মামলার প্রধান আসামি নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু। তবে প্রায় আট মাস আগে তাকে সেখান থেকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
জানা গেছে, নিহত এম ওয়াজেদ আলী পাটগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডারও ছিলেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সাবেক সদস্য। মুজিব বাহিনীর সদস্য হয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এম ওয়াজেদ আলী প্রয়াত সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের ৬ নম্বর সেক্টরের অন্যতম সংগঠক আবিদ আলীর ছোট ভাই।