শরীয়তপুরে যৌন হয়রানির শিকার চিকিৎসক, গ্রেপ্তার ৩
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই নারী চিকিৎসক তিনজনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন। গতকাল রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার গ্রামের শাজহান কবীরের ছেলে রিদওয়ান কবীর (২৮), একই উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়নের ফজলুল হক মোল্লার ছেলে বিল্লাল হোসেন মোল্লা (৫১) এবং তুলাসার গ্রামের তামিম ইলেকট্রনিকসের পিছনের এলাকার মৃত আব্দুল মালেক বেপারীর ছেলে আব্দুল আলীম বেপারী (৩৬)।
পালং মডেল থানা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ওই নারী চিকিৎসক গতকাল তামিম ফ্যামিলি ফুড সেন্টারে শপিং করতে যান। পণ্য ক্রয় শেষে বিল পরিশোধ করতে গেলে পণ্যের দাম বেশি চাওয়ায় সেলসম্যানের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। একপযার্য়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিক পরিচয়ধারী রিদওয়ান কবীর, বিল্লাল হোসেন মোল্লা ও সেলসম্যান আব্দুল আলিম বেপারী ওই চিকিৎসককে ধমক দিয়ে বের হতে বলেন। তখন ওই ডাক্তার মূল্য পরিশোধ করে বের হয়ে রিকশায় করে চলে যেতে চান। এরপর তাঁরা চিকিৎসকের গতিরোধ করে, মাস্ক খুলতে বলেন এবং ওড়না ধরে টান দেন। তাঁরা বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। এসব ঘটনার ভিডিও করতে থাকেন তাদের একজন।
এ সময় ওই ভিডিও মিডিয়ায় প্রকাশ করে চিকিৎসককে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার হুমকিও দেন তাঁরা। তখন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে উপস্থিত হলে তাঁরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে পালং মডেল থানায় ওই চিকিৎসক বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে পালং মডেল থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে পালং বাজার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ওই নারী চিকিৎসক বলেন, ‘গতকাল আমি শপিং করতে গেলে সেখানে পণ্যের দাম নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায় তারা আমাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং নানা রকম হয়রানি করে। আমি এ বিষয়ে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আক্তার হোসেন বলেন, সদর হাসপাতালের একজন নারী চিকিৎসক যৌন হয়রানির অভিযোগে আজ সোমবার সকালে একটি মামলা করেন। এর পরিপেক্ষিতে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।