শিল্পোদ্যোক্তা ও সাবেক মন্ত্রী হারুনার রশিদ খান মুন্নুর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তা ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম হারুনার রশিদ খান মুন্নুর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার। এ উপলক্ষে আজ ভোরে ফজরের নামাজ শেষে মানিকগঞ্জ সদরের গিলন্ড এলাকায় মুন্নু সিটিতে তাঁর সমাধির পাশে গিয়ে জিয়ারত করেন বড় মেয়ে আফরোজা খান রিতা। এরপর সকালে ঈদুল আজহার জামাত শেষে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও পরবর্তীতে মুন্নু গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং দলীয় নেতাকর্মীরা পর্যায়ক্রমে সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও জিয়ারত করেন।
হারুনার রশিদ খান মুন্নুর পৈতৃক বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামে।
এদিকে মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস ও বন্যার কারণে আড়ম্বরহীনভাবে হারুনার রশিদ খান মুন্নুর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। জেলার মহান এই ব্যক্তির মৃত্যুবার্ষিকী ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিন বেলা বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। সেইসঙ্গে এতিম ও দুস্থ শিশুদের মধ্যেও বিশেষ খাবার বিতরণ করা হয়।
আজ মুন্নু সিটির হুরন নাহার মুন্নু জামে মসজিদে বাদ আসর তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস (সিএ) কোর্স সম্পন্ন করা মুন্নু ঢাকার ওয়ারীতে মুন্নু আর্ট প্রেসের মাধ্যমে তাঁর কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলেন। তার পূর্ণতা পায় মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। তিনি মুন্নু সিরামিক, মুন্নু জুটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু ফেব্রিকস ও মুন্নু অ্যাটায়ার লিমিটেডসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান করেছেন। সমগ্র জীবনের উপার্জন মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে উইল করেছেন তিনি, যার মাধ্যমে শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে রেখেছেন অনন্য অবদান। মুন্নু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, মুন্নু নার্সিং ইনস্টিটিউট, মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাঁর সৃষ্টি। কৃষিপ্রধান মানিকগঞ্জকে শিল্পাঞ্চলে রূপান্তরের পেছনে তাঁর ভূমিকা অসামান্য। জেলাবাসী তাঁকে ‘দানবীর’ হিসেবে স্মরণ করেন।
প্রয়াত হারুনার রশিদ খান মুন্নু বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে এবং ২০০১ সালে মানিকগঞ্জ-২ ও মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে দুটি আসনে জয়লাভ করার পর তিনি মন্ত্রী হন।
হারুনার রশিদ খান মুন্নু তাঁর স্ত্রী হুরন নাহার রশিদ, দুই মেয়ে আফরোজা খান রিতা ও ফিরোজা মাহমুদ এবং তাঁদের স্বামী-সন্তান রেখে গেছেন। তাঁর বড় মেয়ে আফরোজা খান রিতা মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।