সরকারবিরোধী আন্দোলনে জাগপা-বিএনপির ঐকমত্য
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বিএনপি।
আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এই অবৈধ অনির্বাচিত সরকারের অপসারণের জন্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে যে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেই অনুযায়ী ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম দফা কথা বলেছি। এখন যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি, তা হচ্ছে আমাদের গণআন্দোলনের দফাগুলোকে নির্ধারণের বিষয়।
আজকে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান ও তার দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আলোচনার মূল বিষয় ছিল আন্দোলনের দাবিগুলো নির্ধারণ করা। কমন দাবিগুলো হলো- গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, রাজনৈতিক কারণে যারা বন্দী আছেন তাদের মুক্তি। রাজনৈতিক কারণে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের মামলা আছে তা প্রত্যাহার। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক অথবা দল নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচন হবে, সেখানে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। এছাড়া আরও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলে আমরা একমত হয়েছি। গণআন্দোলনের এই দাবিগুলো নিয়ে আমরা সামনের দিকে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করে ঐক্যবদ্ধ যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবো।
এ সময় জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর বলেন, আমরা দীর্ঘক্ষণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের ২০ দলীয় ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে সরকারবিরোধী একটা সর্বব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য কী পন্থা উদ্ভাবন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। আজকের বৈঠকে কীভাবে কী কী বক্তব্য নিয়ে আমরা মাঠে নামব, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ এই সংগ্রামে আমরা জয়যুক্ত হব।
সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে অংশ নেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
অন্যদিকে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, জাগপা সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাত, রকিব উদ্দিন চৌধুরী মুন্না, ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, আমিনুল ইসলাম বকুল, মুন্সী ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন মোবারক, মীর আমির হোসেন আমুসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন।