সুনামগঞ্জে চতুর্থ দফায় আবারো নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে
গত কয়েকদিনের টানা ভারি ভর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় জাদুকাটা নদী, চলতি নদী, বোলাই নদী, চেলা নদীসহ সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
সড়কের কয়েক জায়গায় পানি ওঠার কারণে সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এ ছাড়া তাহিরপুরের উত্তর বড়দল, দক্ষিণ বড়দল ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে পানি ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কিছু গ্রাম এবং সুনামগঞ্জ পৌরশহরের বড়পাড়া এলাকায়ও পানি ঢুকে পড়েছে।
এদিকে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তারা জানান, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাগুঞ্জিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের অনেক জায়গায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত কমে গেলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানান, গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সুনামগঞ্জের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাতের কারণে যতটা না পানি বৃদ্ধি পায় তার থেকে বেশি পানি বৃদ্ধি পায় ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হলে। ৪৮ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে ৪৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী আরো দুদিন সুনামগঞ্জের সমতলের দিকে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বৃষ্টিপাত কমে গেলে পানিও কমতে থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থেকে বন্যায় কবলিতদের উদ্ধার করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।