সুনামগঞ্জে বিরোধের জেরে হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু, উত্তেজনা
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইসহাকপুর গ্রামে পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সরোয়ার হোসেন (২১) মারা গেছেন। তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গত শুক্রবার মধ্যরাতে মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরোয়ার হোসেনের লাশ গতকাল শনিবার ময়নাতদন্তের পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হলে বিকেলে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ইসহাকপুর গ্রামের পংকি মিয়া ও সরোয়ার হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে গত ২৮ অক্টোবর রাত ১টার দিকে সরোয়ার হোসেন জগন্নাথপুর উপজেলা সদর থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে হবিবপুর গ্রামের মনাই ভাংতি এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় আহত হন। হামলায় তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত লাগে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় সরোয়ার হোসেনকে স্বজনরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ একটি পাইপগান ও বেশকিছু দেশি অস্ত্রসহ ১৩ জনকে আটক করে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনুজ কুমার দাশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অপরদিকে হামলায় আহত যুবক সরোয়ার হোসেনের বাবা সুন্দর আলী বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামি করে একইদিন জগন্নাথপুর থানায় পৃথক মামলা করেন।
এসআই অনুজ কুমার দাশ বলেন, শনিবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। হামলার ঘটনার মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইসহাকপুর গ্রামে আর যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি।