সুনামগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে কিশোরের ৮ বছর আটকাদেশ
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে মামলার কিশোর আসামি শাহরুল ইসলাম শাহরিয়ার আহমেদকে আট বছরের আটকাদেশের রায় দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
আসামি শাহরিয়ারের বয়স বিবেচনায় নিয়ে ট্রাইব্যুনাল এই রায় দেন। আসামির ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে গাজীপুরের টঙ্গীর কিশোর সংশোধনাগারে রাখা হবে। ১৮ বছর পূর্ণ হলে আসামিকে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান আদালত।
শিশু আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নান্টু রায় বলেন, ‘মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণে শাহরুল ইসলাম শাহরিয়ার আহমদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এবং সে কিশোর হওয়ায় তাকে আট বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। ১৮ বছর হওয়ার আগ পর্যন্ত সে সেইফ হোমে থাকবে। পরে তাকে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচার কার্যক্রম ও রায় দ্রুত হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।’
আইনজীবী আরো বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা-চাচাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর আদালতে অভিযোগ গঠন হয় ৭ জানুয়ারি। শাহারুল ইসলাম শাহরিয়ার আহমেদ কিশোর হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে হয়। অন্যদের বিচার হচ্ছে জেলা দায়রা জজ আদালতে। সেই মামলায় রায়ের জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য রয়েছে। এ মামলায় ২৬ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।’
গত বছরের ১৪ অক্টোবর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা ছিল। পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ছুরি। এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা নাসির উদ্দিন, আবদুল মছব্বির ও জমসেদ আলী এবং চাচাতো ভাই শাহারুল ইসলাম শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে চাচা নাসির ও সাহারুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।