সুনামগঞ্জে হতদরিদ্র ১৩০০ পরিবারে বিজিবির ত্রাণ সহায়তা
পরপর তিনবার সুনামগঞ্জে বন্যা আঘাত করেছে। এতে জেলার ৩০ লাখ জনগোষ্ঠী ভোগান্তিতে পড়েছে। টানা এক মাস ১২ দিন বন্যার ভোগান্তির পর এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তাই খেয়ে না-খেয়ে কোনোমতে দিন পার করছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। হাওরের মানুষ যেমন ভোগান্তিতে পড়ে অসহায় দিন যাপন করছে, ঠিক একইভাবে সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকার মানুষ বন্যা, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নাকাল হয়ে আছে। আর সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকা দুর্গম হওয়ায় খুব একটা ত্রাণ সহায়তাও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে পৌঁছায় না। তাই সীমান্তের দুর্গম এলাকার এক হাজার ৩০০ পরিবারের মধ্যে সুনামগঞ্জ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) ত্রাণ সহায়তা তুলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার দিনব্যাপী বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির আয়োজনে সীমান্ত এলাকার লাউরগড়, চাঁনপুর, টেকেরঘাট, বালিয়াঘাটা ও চারাগাঁও বিওপি এলাকায় এই ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়।
টেকেরঘাট সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা মো. আখলাক মিয়া (৬০) বলেন, ‘প্রতিবার যেকোনো দুর্যোগে বিজিবির সাব এসে আমাদের সহায়তা করেন। আর যাই হোক, আমরা কিছু খেয়ে কোনোমতে থাকতে পারি।’
একই এলাকার শরিফা বিবি (৫৬) বলেন, ‘এর আগে বিজিবি আমাদের বড় বড় ডাক্তার এনে চিকিৎসা দিয়েছে, সঙ্গে ওষুধও দিয়েছে। এবার বন্যা আর পাহাড়ি ঢলে আমরা খুব অসুবিধায় পড়েছি। এবারও বিজিবি আমাদের সহায়তা করেছে। আল্লায় তাদের ভালো করুক।’
সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম বলেন, ‘পরপর তিনবার বন্যা সুনামগঞ্জে আঘাত করেছে। এতে জনজীবন বিধ্বস্ত হয়ে আছে। পাহাড়ি ঢলে অনেকের বাড়িঘর নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ১৩ প্যাকেট ত্রাণ সহায়তা পেয়েছি। সেই ত্রাণ আমরা সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকার অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে পৌঁছে দিয়েছি। করোনার বিষয়ে সচেতনতামূলক পরামর্শ দিয়েছি। এর আগেও করোনা শুরুর পর আমরা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সহায়তা একইভাবে দুর্গম এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এলাকার জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে আমরা ত্রাণ এই কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করি।’