স্বামীকে হত্যার পর পাতিলে ভরেন দ্বিতীয় স্ত্রী!
ভোলা সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে মো. ফরহাদ হোসেন টিটব মুন্সী (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী নূর নাহার বেগমকে রক্তাক্ত দাসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার ভোররাতে সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড রুহিতা গ্রামের পন্ডিতের পোল এলাকায় শিহালী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত টিটব মুন্সী সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন মুন্সীর ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো টিটব গতকাল রাতে আলীনগরে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নূর নাহার বেগমের বাড়িতে যান। সকালে স্থানীয়রা নূর নাহারকে ঘরের সামনে রক্তাক্ত দা হাতে নিয়ে বসে থাকতে দেখেন। পরে ৯৯৯-এর মাধ্যমে থানায় খবর দেয় তারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের ভেতর মেঝে থেকে টিটবের রক্তাক্ত মহদেহ উদ্ধার করে। এ সময় স্ত্রী নূর নাহারকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, টিটব মুন্সী ও তাঁর স্ত্রী নূর নাহার বেগমের সঙ্গে প্রায় সময়ই ঝগড়া-মারামারি ও হইচই হতো।
সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, টিটব দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর নামে থানায় একাধিক মাদক, হত্যা, ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী অনেকবার তাঁকে পুলিশে ধরিয়েও দিয়েছিলেন।
এসআই কবির জানান, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে টিটবের পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। রাতে টিটব ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী নূর নাহার ঘুমন্ত স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেন। তিনি হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি, টিটবের হাত-পা টুকরো টুকরো করে রান্না করার পাতিলে বোঝাই করেন।
এসআই আরও জানান, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
টিটব মুন্সীর প্রথম স্ত্রী মাহামুদা বেগম তুহিনের সংসারে এক মেয়ে ও দুই ছেলে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী নূর নাহার বেগমের সংসারে আট বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
এদিকে স্ত্রীর হাতে স্বামী খুনের ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।