হবিগঞ্জের হাওর এলাকায় বাড়ছে পানি, ডুবছে নতুন এলাকা
উজান ও ভাটি, দুদিক থেকেই চাপে পড়েছে হবিগঞ্জ। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যার পানি কালনি-কুশিয়ারা দিয়ে নামছে। ফলে হবিগঞ্জের হাওর এলাকায় বাড়ছে পানি। অন্যদিকে, জেলার ভাটি এলাকা দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা নদীর পানি বেড়েই চলছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে কালনী, কুশিয়ারা, খোয়াইসহ বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবল বেগে নবীগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা দিয়ে প্রবেশ করে। প্লাবিত হয় হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকা।
ক্রমেই পানি বাড়তে থাকায় আক্রান্ত হয় বানিয়াচং ও লাখাই উপজেলাও। আর সর্বশেষ বুধবার থেকে নতুন করে প্লাবিত হতে থাকে বাহুবল উপজেলাও।
এদিকে, প্রতিদিনই বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন জেলা প্রশাসকসহ কর্মকর্তারা। মাঠে আছেন জনপ্রতিনিধিরাও। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে দাবি স্থানীয়দের।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বানভাসিদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। সেই সঙ্গে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য জেলায় ৯৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, জেলার চারটি উপজেলা বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় আক্রান্তদের অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে আসেননি। তারা গবাদি পশু বা অন্যান্য জিনিসের কারণে বাড়ি ছেড়ে গ্রামের উঁচু জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। কেউ আবার উঁচুতে আত্মীয়স্বজন বা প্রতিবেশির বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।