হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন আটকেপড়া ২৬১ বাংলাদেশি
ভারতে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনে গিয়ে আটকেপড়া ২৬১ জন বাংলাদেশি দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। গত ১৯ মে থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত তারা দেশে ফিরেন। তবে আজ রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত কোনো যাত্রী দেশে আসেননি।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, দেশে আসা এসব বাংলাদেশি যাত্রীর মধ্যে নয়জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। তাদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেকেন্দার আলী জানান, ভারতে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজনে গিয়ে করোনার কারণে আটকা পড়েন বাংলাদেশি এসব পাসপোর্টযাত্রী। এই অবস্থায় সরকার গত ১৬ মে থেকে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশন থেকে এনওসি এবং ৭২ ঘণ্টার করোনা সনদ নিয়ে তাদের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফেরার অনুমতি দেয়। গত ১৯ মে থেকে এসব আটকেপড়া বাংলাদেশি দেশে ফিরতে শুরু করেন।
ওসি আরও জানান, দেশে ফেরার পর তাদের পুনরায় করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরপর ইমিগ্রেশন, বিজিবি ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে স্থানীয় তিনটি আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। কলকাতা উপহাইকমিশন থেকে ৩০০ জন অনুমতি নিলেও গতকাল শনিবার পর্যন্ত মোট ২৬১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গাদ্দাফি শিকদার জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আসা বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত নয়জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। তাদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কি না, তা জানতে ঢাকায় নমুনা পাঠানো হয়েছে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর এ আলম জানান, ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে আটকেপড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের দেশে আসা অব্যাহত রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষে পুনরায় তাদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। এই পর্যন্ত নেগেটিভ আসায় ১৫৩ জনকে বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যরা কোয়ারেন্টিনে আছেন।