গান বাজিয়ে গণধর্ষণ, তিন যুবক কারাগারে
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোরা ইউনিয়নে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে গান বাজিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে (রিমান্ড) চায় পুলিশ। আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
এরই মধ্যে গণধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও ক্লিপটি নিজেদের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গণধর্ষণের মামলার আসামি শাহিনের বড় ভাই বাদশা মল্লিক (২৭) এবং শাহিনের বন্ধু হৃদয় হোসেনকে (২০) গত বুধবার পুলিশ আটক করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার মামলার অন্যতম আসামি শাহিনকে আটক করে পুলিশ। আজ তাঁদের তিনজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মানিকগঞ্জের বিচারিক হাকিম ফারজানা আহমেদের আদালতে তাঁদের সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক তিনজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর আদালত এদের জামিন ও রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
গত ৯ মে ১১ বছরের ওই শিশুটি গণধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শাহিন ও রমজান তা মুঠোফোনে ধারণ করে বলে মেয়েটি জানায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘিওর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান জানান, মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে গত সোমবার শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর গত মঙ্গলবার বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরের বান্দুটিয়া এলাকা থেকে আসামি শাহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার করতে গত বুধবার সকালে নিজ গ্রাম থেকে হৃদয়কে আটক করা হয়। বুধবার রাতে সাভারের কাতলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাদশাকে ওই মুঠোফোন ও মেমোরি কার্ডে ধর্ষণের ভিডিওসহ আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে শিবালয় সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হারুন-অর রশিদ জানান, ভিডিওটি যেন ইন্টারনেটে ছড়িয়ে না পড়ে সে কারণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও সতর্কতার সঙ্গে তা উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তে যাদের এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকায় গিয়ে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করেছেন মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মুঠোফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে শাহিনকে দ্রুত আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’