কলকাতা থেকে আসা ট্রেনে পেট্রলবোমা হামলা
পাবনার ঈশ্বরদী জংশনে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে পেট্রলবোমা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
হামলার কারণে নির্ধারিত সময়ের সোয়াঘণ্টা দেরিতে ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঘটনা তদন্তে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) শফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মৈত্রী এক্সপ্রেসের পরিচালক (গার্ড) শেখ হেলাল উদ্দিন এনটিভিকে জানান, দুপুর ২টায় ঈশ্বরদী স্টেশনে আসে মৈত্রী এক্সপ্রেস। যাত্রা বিরতি শেষে ট্রেনটি দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে ছেড়ে যায়। এর তিন মিনিট পরই শহরের লোকোশেড রহিমপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা ট্রেনের ইঞ্জিন লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে।
‘এতে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি থামিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেনের চালকের আসনের পাশের গ্লাসে আগুন দেখে নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’ বলেন হেলাল উদ্দিন। তিনি জানান, ট্রেনটির ছয়টি কোচে ওই সময় ২১৫ জন যাত্রী ছিল।
চালক মিজানুর রহমান ও সহকারী চালক রেজাউল ইসলাম জানান, ইঞ্জিন লক্ষ্য করে পর পর তিনটি পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। চালকের জানালার কাঁচে লেগে পাশের বগিতে পড়ে আগুন ধরে যায়।
ইঞ্জিনের পাশের কোচের যাত্রী মুন্তাজ উদ্দিন, আকবারী বেগম ও জামিল হোসেন জানান, ইঞ্জিনের গ্লাস থেকে ছিটকে বোমাগুলো তাদের বগিতে লাগে। দুই পাশ থেকে ধোঁয়া দেখে তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে ভীত-সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়েন।
রেলওয়ের পাকশি বিভাগীয় ট্রেন চলাচল কর্মকর্তা (ডিটিও) শফিকুল ইসলাম ও বিভাগীয় প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম ফারুকী জানান, প্রকৌশলীদের পরামর্শে ট্রেনটিতে নতুন ইঞ্জিন লাগানো হয়। এ জন্য ঈশ্বরদীতে ট্রেনটির প্রায় সোয়া ঘণ্টা বিলম্ব হয়।
রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, পেট্রলবোমার তিনটি কর্ক আলামত হিসেবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন ও পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঈশ্বরদী স্টেশনসহ ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব, রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ও আনসার সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।