হাসপাতাল থেকে উধাও নবজাতক
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জন্মের পর পরই ওই নবজাতক নিখোঁজ হয়ে যায়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের পরঘড়া গ্রামের মহর আলী অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী আঙ্গুরি দুপুরে সন্তান জন্ম দেন। তাঁরা নবজাতককে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার কোনো হদিস দিতে পারেনি। মৃত সন্তান না দেখিয়ে হাসপাতালের লোকজন তা নিয়ে গেছে। হাসপাতাল থেকে নবজাতককে চুরি করা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুল মালেক এনটিভি অনলাইনকে জানান, একটি নবজাতককে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় সিভিল সার্জন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছেন। কমিটি গঠিত হলে তাতে কারা কারা থাকছেন তা জানা যাবে বলে জানান তিনি।
তবে জেলা সিভিল সার্জন মতিউর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি হাসপাতালের আরএমওকে বিষয়টি তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছি।’
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান জানান, নবজাতক নিখোঁজের খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্বজনরা অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁরা অভিযোগ দিলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, মহর আলীর স্ত্রী আঙ্গুরি ও শিবালয় উপজেলার রূপসা গ্রামের ইন্তাজের স্ত্রী বিলকিসকে স্বজনরা সকালে সদর হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। বেলা ১১টার দিকে স্বাস্থ্য সহকারী ফাতেমা আক্তার ও জ্যেষ্ঠ সেবিকা লিপি রায়ের তত্ত্বাবধানে দুজনই নির্ধারিত সময়ের আগেই দুটি সন্তান প্রসব করেন।
দুই প্রসূতিকে ডেলিভারি কক্ষ থেকে চিকিৎসকরা সাধারণ ওয়ার্ডের বেডে পাঠিয়ে দেন। এরপর আয়া আম্বিয়া বেগম ডেলিভারি কক্ষ থেকে বালতিতে করে ময়লা ও ব্যান্ডেস নিয়ে হাসপাতালের
ডাস্টবিনে ফেলে দেন।
এ সময় স্বজনরা নবজাতককে চাইলে মৃত সন্তান হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান। তখন স্বজনরা মৃত নবজাতককে চাইলে ডেলিভারি কক্ষে তা পাওয়া যায়নি। পরে ডাস্টবিন থেকে এক মৃত নবজাতককে পাওয়া গেলেও আরেকজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।