‘অস্বীকার করব না, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন এসেছে’
‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। এটি জাতির প্রত্যাশা। আমি অস্বীকার করব না, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন এসেছে।’
নবগঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলের সদস্য আবদুর রাজ্জাক এ কথা বলেন।
সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুর রাজ্জাক বলেন ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী দিনে কোনো নির্বাচনই যেন প্রশ্নবোধক না হয় তা নিশ্চয়তা দেওয়ার চেষ্টা করব আমরা। কাজেই যে নির্বাচন কমিশন গতকাল গঠিত হয়েছে আমার মনে হয় একটা ভালো নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন।’
ত্রয়োদশ সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে ফেলা হয়। এরপরই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না বলে জানিয়ে দেয় বিএনপি।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। মহাজোট সরকারের অধীনেই ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ওই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
কাজী রকিবউদ্দীন নেতৃত্বাধীন বিদায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই ওই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নবগঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা আশাবাদী এ নির্বাচন কমিশন জাতির প্রত্যাশা পূরণে সমর্থ হবে। সেই সঙ্গে আমরা সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাব যে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করার জন্য। কারণ সব রাজনৈতিক দলের সহায়তা নিয়েই নির্বাচন কমিশন অবাধ সুষ্ঠু এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারে।’
আগামীকাল বুধবার কাজী রকিবউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথ নেবেন কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন। গতকাল সোমবার কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়। এতে কমিশনার হিসেবে রয়েছেন সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, রাজশাহীর সাবেক জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।