অপহৃত স্কুলছাত্রের লাশ মিলল ডোবায়
অপহরণের চার দিন পর কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের স্কুলছাত্র মো. জিহাদের (৮) লাশ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি রবিউলের বাড়ির পাশের ডোবা থেকে জিহাদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জিহাদ মির্জাপুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী বাবুল মিয়ার একমাত্র ছেলে। সে ফুলকলি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মির্জাপুর গ্রামের রবিউল (২৪), তাঁর মা আমিন জাহান (৪০) ও চাচা আবদুর রহিম (৫০)।
নিহত জিহাদের চাচা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান অহিদ মিয়া জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর গ্রামের শতাধিক নারী পুরুষ রবিউলের বাড়ির আশপাশে জিহাদকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে ধইঞ্চা ক্ষেতের পাশের ডোবা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে সেখান থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় জিহাদের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জীবন হাজারীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে একমাত্র ছেলে জিহাদকে হারিয়ে তার মা এখন বাকরুদ্ধ। তিনি চিৎকার করে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী দোষীদের ফাঁসির দাবিতে থানা অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এলাকাবাসী জানায়, জিহাদ গত ৬ জুন শনিবার দুপুর ২টায় বাড়ির পাশে পাঁচকিত্তা-রামচন্দ্রপুর সড়কে খেলতে যায়। তখন চার-পাঁচজন ব্যক্তি জিহাদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় জিহাদের চাচা মো. শহিদ মিয়া বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করেন। রোববার বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণের পাঁচ হাজার টাকা নেওয়ার সময় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে রবিউলকে আটক করে পুলিশ। সোমবার সকালে মুরাদনগর থানা পুলিশ আটক রবিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুরাদনগর থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, শিশু জিহাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।