বাস থামানোর পর পুলিশের ওপর বোমা!
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস থামানোর পর হাইওয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেছে দুজন। তবে বোমাটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় রক্ষা পান পুলিশ সদস্যরা।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় দুজনকে আটক করে পুলিশ। দুজনের একজন পুলিশের গুলিতে, অন্যজন জনতার পিটুনিতে আহত হয়েছে।
পুলিশের দাবি, বোমা হামলাকারী দুই ব্যক্তি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) কর্মী। তাঁরা নিজেদের নাম হাসান ও জসিম বলে দাবি করেছেন।
পুলিশ জানায়, সকাল ১০টার দিকে পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করছিল। এ সময় বাস থেকে নেমে দুই যাত্রী তাদের লক্ষ্য করে একটি বোমা নিক্ষেপ করে। এটি বিস্ফোরিত না হলে উভয়ে আরো চারটি বোমা ফেলে দৌড়ে পালাতে থাকে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ যৌথভাবে তাদের ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন অপরজনকে ধরে পিটুনি দেয়।
আটক করার পর দুজনকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জেলা পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুজন জেএমবি কর্মীকে ধরা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে একটি দ্রুতগতির বাসকে থামানোর নির্দেশ দেয়, তখন ভেতর থেকে এরা নেমে আসে।
নেমে আল্লাহ আকবর বলে বোমা চার্জ করে। পিছু হটতে হটতে যখন আরো একটা বোমা ছোড়ে তখন পুলিশ গুলি করে। এতে একজন আহত হয়েছে। আমরা দুজনকে ধরতে সক্ষম হয়েছি।’
তাদের সঙ্গে উদ্ধার করা ব্যাগে নতুন ধরনের কিছু বোমার উপকরণ পাওয়া গেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।