দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না : ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কখনই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা পৌর পার্কে জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ দুঃসময় অতিক্রম করছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই দেশে আমাদের কোনো অধিকার নেই। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেখেছেন আপনাদের ভোট ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। জনগণকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। আপনার উপজেলা, পৌরসভায় দেখেছেন, সবচেয়ে বেশি দেখেছেন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে। যেখানে ভোট দিতে জনগণ যায়নি, কিন্তু তারা ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে সরকার গঠন করে ফেলেছে।’
‘আপনি আজকে ভোট দিতে পারবেন না, তা নয়; আপনি আজকে সত্য কথা বলতে পারবেন না। আপনি এই সরকারের সমালোচনা করতে পারবেন না। তারা যে খারাপ কাজ করে, তাদের লোকেরা যে চুরি করে, ১০ কেজির চাল বিক্রির সময় যে চুরি করে, গম চুরি করে সেই সম্পর্কে আপনারা কিছু বলতে পারবেন না। বললেই মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পুরে দেবে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন আবার নতুন অস্ত্র বের করছে। কিছু হলেই বলে, জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত, নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। যখনই আপনি মিটিংয়ে বসবেন, ২০-২৫ জন দলের লোক নিয়ে। বলবে, নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। তারপর বলবে, টাকা দাও, নইলে জেলে যাও। ঠিক কি না বলেন? এই হচ্ছে বন্ধু, বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা।’
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেছে। কিন্তু তার ছিটেফোঁটাও পৌঁছায়নি প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তবে উন্নয়ন হয়েছে শুধু আওয়ামী লীগের। এ ছাড়া আগামী নির্বাচনে দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণ তা ফিরিয়ে আনবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুজ্জামান খান বাবুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল খালেদ, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও সাবেক এমপি রওশন আরা ফরিদ প্রমুখ।
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কাউন্সিল দীর্ঘ সাত বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে সভাপতি পদে দুজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।