‘সাংবাদিক শিমুলের মাথার গুলি, মেয়রের গুলির মিল’
সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুলের মাথায় বিদ্ধ গুলির সঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর শটগানের গুলির মিল পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল রোববার রাতে শিমুল হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবুল কাশেম জানান, সাংবাদিক শিমুলের মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দল তার মাথার ভেতর থেকে একটি গুলি (০.০৫ গ্রাম ওজনের সিসার বল) উদ্ধার করেন। গুলিটি মেয়র মিরুর শটগানের কী না তা নিশ্চিত হতে শাহজাদপুর থানা পুলিশ গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিআইডিতে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। ঢাকায় সিআইডির পরীক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন শাহজাদপুর আমলি আদালতে জমা দিয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, মেয়র মিরুর শটগানের গুলির সঙ্গে সাংবাদিক শিমুলের ময়নাতদন্তে পাওয়া গুলির স্প্লিনটারের মিল পাওয়া গেছে।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি মৌখিকভাবে তিনি জেনেছেন। তবে প্রতিবেদনটি এখনো হাতে আসেনি। তাই পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে এ ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম শাহজাদপুর আমলি আদালতের মাধ্যমে পৌর মেয়র মিরুর কাছ থেকে জব্দ করা তার লাইসেন্স করা একটি শটগান, চারটি গুলি, নিহত সাংবাদিক শিমুলের মাথার ভেতর থেকে পাওয়া একটি স্প্লিনটার (সিসার বল) ও একটি গুলির খোসা ঢাকার সিআইডিতে পরীক্ষার জন্য পাঠান।
গত ২ ফেব্রুয়ারি সকালে ছাত্রলীগ ও মেয়র দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় দায়িত্ব পালনকালে মেয়র হালিমুল হক মিরুর ব্যক্তিগত শটগানের গুলিতে সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাঁকে বগুড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।