যশোরে পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আহত ৯
যশোরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশ সদস্যসহ নয়জন আহত হয়েছেন। তাঁদের পুলিশ পাহারায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে যশোর-মাগুরা সড়কের খাজুরা এলাকায় একদল ডাকাতের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ হয়। ডাকাতরা গোয়েন্দা পুলিশের ছদ্মবেশ নিয়েছিল। আহতদের মধ্যে খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির এক উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিন কনস্টেবল রয়েছেন।
‘বন্দুকযুদ্ধের পর’ ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ডিবি পুলিশের পোশাক, একটি ওয়াকিটকিসহ কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আহত অন্য পাঁচজন হলেন মুন্সীগঞ্জের মেদিনীমণ্ডল গ্রামের আবদুল হাই, খুলনার ডালমিল এলাকার ফারুক ওরফে বাদশা, ঢাকার সাভারের বাকুদা এলাকার আনিসুর রহমান, ঝালকাটি উত্তর কাঁঠালিয়া গ্রামের হাসান আবদুল্লাহ এবং সিলেটের গোলাবক্স শিলঘাট গ্রামের রাজীব হোসেন।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক জানান, ডিবি পুলিশের ছদ্মবেশে একদল ডাকাত গতকাল সেহরির সময় একটি মাইক্রোবাসে করে যশোর-মাগুরা সড়ক বারবার যাওয়া-আসা করছিল। ওই সড়কে টহলে থাকা খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাসুদুর রহমান তার সঙ্গে থাকা ফোর্স নিয়ে গাড়িটি থামান। এ সময় গাড়ির ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে ডাকাত দলের কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যেতে সমর্থ হলেও পাঁচজনকে আহত অবস্থায় আটক করে পুলিশ। তাঁদের পুলিশ পাহারায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাসুদুর রহমান, একই ফাঁড়ির কনস্টেবল তুহিন খান, কনস্টেবল দীপু ও কনস্টেবল আকিমুল ইসলাম।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবদুর রশিদ জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে যশোর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির পান্না আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বাঘারপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফকির পান্নু মিয়া জানান, আহতদের আটক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগ্নেয়াস্ত্রসহ উদ্ধার হওয়া অন্য জিনিসপত্র বাঘারপাড়া থানায় রয়েছে।