হাওরে ডুবেছে ধান, চালের বাজারে সিন্ডিকেট
টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার হাওরে পানি ঢুকে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যেই একটি অসাধু চক্র সিন্ডিকেট করে বাজারে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
খবর পেয়ে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা শুরু করেছে। তবে সাধারণ মানুষ একে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে দেখছেন।
জেলার সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত ১০ দিনের ব্যবধানে চালের বাজার কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগে যে চালের বস্তার দাম ছিল এক হাজার ৯০০ থেকে দুই হাজার ১০০ টাকা, এখন সেই এক বস্তা চালের জন্য গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে দুই হাজার ৭০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।
সাধারণ মানুষ এর জন্য বাজারে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্যকে দায়ী করেছেন। এ অবস্থার মধ্যেই জেলা প্রশাসন জেলার চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। বাজারে পরিচালনা করা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, চালের বাজারে হঠাৎ করেই দাম বেড়েছে। মিলমালিক ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে এরই মধ্যে বৈঠক করা হয়েছে। মানুষের দুরবস্থার মধ্যে মানুষকে কষ্টে ফেলে বেশি দাম যাতে না নিতে পারে, সে জন্য সার্বক্ষণিক বাজার তদারক করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আজ এনটিভি অনলাইনকে জানান, এরই মধ্যে সদর উপজেলার জাউয়াবাজার, আমবাড়ী, পলাশসহ কয়েকটি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। সেখানে চালের দাম কেনা দামের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি রাখায় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুরসহ বিভিন্ন উপজেলায় একইভাবে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। সেখানেও প্রতি কেজি চাল গড়ে পাঁচ থেকে ছয় টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে কয়েক ব্যবসায়ীকে লক্ষাধিক টাকার মতো জরিমানা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতি কেজি চাল কেনা দামের চেয়ে এক টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে। এতে বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।