বাগেরহাটের তিনজনের রায় যেকোনো দিন
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বাগেরহাটের শেখ সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মাস্টার, আবদুল লতিফ তালুকদার ও খান আকরাম হোসেনের মামলার রায় যেকোনো দিন।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় এই কসাই সিরাজ মাস্টার ও তাঁর দুই সহযোগীসহ তিন রাজাকার হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমরা শুনানিতে তা প্রমাণ করতে পেরেছি। আশা করি, ট্রাইব্যুনালে তাঁদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হবে। ’
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আসামিরা সরাসরি হত্যাকাণ্ড ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, এমন কোনো যুক্তি রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি। আমরা আশা করি, আসামিরা খালাস পাবেন।’
আসামি সিরাজ মাস্টারের পক্ষে রাষ্ট্র-নিয়োজিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল আহসান ও খান আকরাম হোসেন এবং লতিফ তালুকদারের পক্ষে উপস্থাপন করেন এম সারওয়ার হোসেন।
অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন ও প্রসিকিউটর মোশফেক কবির শুনানিতে অংশ নেন।
গত বছরের ৫ নভেম্বর সিরাজ মাস্টার, আবদুল লতিফ তালুকদার ও খান আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মোট সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের মধ্যে সিরাজ মাস্টারের বিরুদ্ধে পাঁচটি এবং আবদুল লতিফ ও খান আকরামের বিরুদ্ধে তিনটি করে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাটের শাঁখারিকাঠি বাজার, রণজিৎপুর, ডাকরা ও কান্দাপাড়া গণহত্যাসহ আট শতাধিক মানুষকে হত্যা-গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন এবং শতাধিক বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল-১ গত বছর ১০ জুন এ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ১১ জুন আবদুল লতিফ তালুকদার, ১৯ জুন খান আকরাম হোসেন ও ২১ জুলাই সিরাজ মাস্টারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর এ তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। তার আগে ১৪ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন। ২৫ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশন বরাবর দাখিল করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।