নরসিংদীতে নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় মেলেনি
নরসিংদীর সদর উপজেলার ভাটপাড়া এলাকায় গত সোমবার দিবাগত রাতে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত সাতজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় মেলেনি। বাকি চারজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে তাঁরা হলেন নরসিংদী সদর উপজেলার কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের খরিয়া মীরেরকান্দি গ্রামের মৃত নূরু মিয়ার ছেলে পাওয়ারলুম শ্রমিক আইনাল হক (৩২), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার যোগারদিয়া গ্রামের আক্তার হোসেন (৩৫), সংযুক্ত আরব আমিরাত ফেরত আমান উল্লাহ ও বাঘবাড়ী এলাকার ভ্যানচালক ইয়াসিন মিয়া (২০)।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আবুল কাসেম জানান, আজ সন্ধ্যার মধ্যে বাকি তিনজনের স্বজন বা লাশের দাবিদার পাওয়া না গেলে লাশগুলো বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ওসি জানান, নিহতদের মধ্যে আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর, আড়াইহাজারসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ ১০টির বেশি মামলা রয়েছে।
এদিকে গণপিটুনিতে সাতজন নিহতের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিহতদের লাশ শনাক্ত করেন স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা। আক্তার হোসেনের লাশ বুঝে নেন তাঁর স্ত্রী আকলিমা বেগম। আমান উল্লাহর লাশ বুঝে নেন তাঁর স্ত্রী সালমা বেগম। আইনাল হকের লাশ বুঝে নেন তাঁর স্ত্রী ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুলতানা বেগম। ভ্যানচালক ইয়াসিন মিয়ার মরদেহ বুঝে নেন তাঁর মা ফিরোজা বেগম।
আমান উল্লাহর স্ত্রী সালমা বেগম জানান, তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন দুবাইয়ে কর্মরত ছিলেন। তিন মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। রোববার সকালে কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান আমান। পরে লোকমুখে তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন সালমা। তাঁদের পাঁচটি সন্তান রয়েছে।
এদিকে সদর মডেল থানায় হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতদলের সদস্য আবদুর রহিম। মঙ্গলবার বিকেলে জেলার বিচারিক হাকিম আলমগীর আল মামুনের আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে ঘটনার হোতা আন্তজেলা ডাকাতদলের সর্দার রেহান উদ্দিন ও দুলাল মিয়াকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।