পদ না পাওয়া কর্মীকে নেতার পিটুনি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পদ না পাওয়া ছাত্রলীগকর্মী জুনায়েদ ইসলাম পুলককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন সৈয়দ আমীর আলী হল শাখার নবনির্বাচিত সভাপতি নাজমুল ইসলাম সজল ও তাঁর সহযোগীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের ২৫৬ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত ২০ জুন সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হলে সাধারণ সম্পাদকের পদ প্রত্যাশী জুনায়েদ ইসলাম পুলক নতুন সভাপতি সজলকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা পুলককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে ছাত্রলীগের সুপারিশে মামালা থেকে জামিন নিয়ে পুলক দুই দিন ধরে হলেই অবস্থান করছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানায়, বিকেলে সজল ও তাঁর সহযোগীরা ছাত্রলীগকর্মী জুনায়েদ ইসলাম পুলকের কক্ষে যান। তাঁরা পুলককে হল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। পুলক তা মানতে নারাজ হলে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে সভাপতি সজল লাঠি দিয়ে পুলককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে পুলককে হলের অতিথি কক্ষে আটকে রাখেন হল সভাপতি ও তাঁর সমর্থকরা।
এ ব্যাপারে জুনায়েদ ইসলাম পুলক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি আমার কক্ষে শুয়েছিলাম। এ সময় হল সভাপতি ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে আমাকে হল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। আমি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। হল থেকে না যেতে চাইলে ওরা আমাকে মারধর করে।’ দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতি করছেন বলেও জানান তিনি।
হল সভাপতি নাজমুল ইসলাম সজল এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘যেদিন হলের কমিটি ঘোষণা করা হয় সেদিন পুলক ও তার কর্মীরা আমাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এখন আবার আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। এ জন্য তাকে সতর্ক করতে গেলে সে আমার উপর চড়াও হয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। ঘটনার বিস্তারিত জেনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে হল প্রাধাক্ষ্য ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এর আগে পদ নিয়ে হলে ঝামেলা হয়েছিল। এর জেরেই হয়তো আবার হাতাহাতি হয়েছে। তবে নিরপত্তার স্বার্থে পুলিশের মাধ্যমে তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’