ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যবিপ্রবি শিক্ষক বহিষ্কার
ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজ আল হাসানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার এ আদেশ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক প্রকৌশলী আহসান হাবীব এনটিভি অনলাইনকে জানান, পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এক ছাত্রী মে মাসে উপাচার্যের কাছে সৈয়দ মাহফুজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দেন। এরপর তিনি গত ১৯ জুন একই অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
‘গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য এ বিষয়ে সভা আহ্বান করেন। সভায় আইন উপদেষ্টাদের পরামর্শে তিনি নিজ ক্ষমতাবলে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করেন। পরে আজ দুপুর পৌনে তিনটায় উপাচার্য এ আদেশ জারি করেন।’
একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তার কারণ দর্শাতে সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্যও উপাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় নিবন্ধক।
মামলার এজাহারে ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, একই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগের ওই শিক্ষক প্রায়ই ছাত্রীর বাসায় যেতেন। একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ২৭ জুন সন্ধ্যায় শিক্ষক ছাত্রীটির বাসায় গিয়ে প্রশ্নপত্র দেওয়াসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁকে বিয়ে করবেন বলে নিয়মিত ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ অব্যাহত রাখেন।
চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রী বিয়ের প্রস্তাব দিলে শিক্ষক নানা কৌশলে এড়িয়ে যান। ১৫ জুন আবারও প্রস্তাব দিলে তিনি বিয়ে করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এ নিয়ে কোনো রকম কথা বললে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয় বলে ওই ছাত্রী মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন।