তল্লাশির ঘটনা প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র নেই : ফখরুল
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি মনে করেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এভাবে পুলিশি তল্লাশির ঘটনা প্রমাণ করে দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিক থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। সকাল ৮টার দিকে তারা কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশি শুরু করে। দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় তল্লাশি করে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কার্যালয় ছেড়ে চলে যায় গুলশান থানার পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁয়ে সাংগঠনিক কাজে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাতে তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। সকালে দলের নেতাদের কাছ থেকে তল্লাশির খবর পান। তল্লাশি শেষে সকালে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তারা সার্চ ওয়ারেন্টের কথা বলেছে, কিন্তু দেখায়নি। এর থেকে এটাই প্রমাণিত হয়, এই সরকার ইচ্ছেকৃতভাবে অত্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চাকে ব্যহত করতে চাইছে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল, যে দলের চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর কার্যালয়ে পুলিশি হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘এই ঘটনা এটাই প্রমাণ করেছে, গণতন্ত্রের লেশমাত্র এই দেশে অবশিষ্ট নেই। আমরা আবার বলছি, বাংলাদেশ সম্পূর্ণ একটি গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্যে সরকার দেশ চালাচ্ছে।’
তল্লাশির খবর পেয়ে সকাল পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের কার্যালয়ে যান রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি শেষে কার্যালয় ছাড়ার পর সকাল ১০টার দিকে ৮৬ নম্বর সড়কে দাঁড়িয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে এবং তাঁর মর্যাদাহানি করার জন্যই এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। এটা উদ্দেশ্যমূলক এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।’
এ ব্যাপারে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ রয়েছে ওই কার্যালয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখার। আদালতের নির্দেশেই তল্লাশি চালানো হয়েছে।
সকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘সাধারণত কার্যালয়ের সামনে পুলিশ থাকে না। এলাকার নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় কিছু পুলিশ থাকে। আজ সকাল থেকে গুলশান থানার অতিরিক্ত পুলিশ কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নেয় এবং কার্যালয়টি ঘিরে ফেলে।
পরে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দীন দিদার জানান, এতক্ষণ পুলিশ কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান করলেও এখন তারা ভিতরে প্রবেশ করেছে এবং তল্লাশি চালাচ্ছে।