‘মেম্বর বা চেয়ারম্যান আসিয়া দেখিল না’
তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে উজানের ঢলের পানি কিছুটা কমলেও এখনো তা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশত ঘরবাড়ি। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষ। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের খোঁজখবর নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
অন্যদিকে, ঢলের পানিতে জলমগ্ন হচ্ছে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নতুন নতুন এলাকা।
আজ বৃহস্পতিবার ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, উত্তর পারুলিয়া এলাকার একটি কাঁচা রাস্তা ভেঙে অন্তত হাজার খানেক পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়কেও ছুঁই ছুঁই করছে পানি।
বন্যাকবলিত এলাকার ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘এই যে এই রাস্তাটা ভোর ৫টার সময় ভাঙছে, এখন পর্যন্ত কোনো মেম্বর বা চেয়ারম্যান আসিয়া দেখিল না যে রাস্তাটা ভাঙছে, বাড়িঘর ডুবিছে মানুষগুলা কোন অবস্থায় আছে।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা এলাকার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বুলু বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ফোন দিলাম। তখন উনি তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে এলেন। এরপর আমি স্থানীয়ভাবে ইউনিয়ন থেকে লোকজন নিয়ে বস্তা নিয়ে, সাথে কিছু বাঁশ নিয়ে বালু দিয়ে ব্যবস্থা করছি।’
ভারতে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বুধবার সকাল থেকে বাড়তে থাকে তিস্তার পানি। এরপর গজলডোবা ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে দেওয়া হয়। আর এতে হু হু করে বাড়তে থাকে নদীর পানি। আর পানির ঢল ভারতের ভাটিতে থাকা লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজের দিকে ধেয়ে আসতে থাকে। দুপুরের পর থেকে সেই পানি এসে পৌঁছায় ব্যারাজ পয়েন্টে। এতে ব্যারাজের ৪৪টি গেটের সবকটি গেট খুলে দেওয়া হয়।