হাওরের কৃষিকৌশল নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলে স্বল্প সেচে কীভাবে অধিক ফসল ফলানো যায় সে বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে শিল্পকলা একাডেমিতে এ সেমিনারের আয়োজন করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
‘কৃষিই সমৃদ্ধি’ স্লোগান নিয়ে সুনামগঞ্জে ‘শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধির কৌশল’বিষয়ক দিনব্যাপী সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
সেমিনারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাহেদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আলতাবুর রহমান। নির্ধারিত বিষয়ের ওপর বক্তব্য দেন মো. জাহেদুল হক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সুনামগঞ্জ উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জে ৭৪ শতাংশ জমি একফসলি এবং সেই জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়। অকালবন্যায় এই ফসল তলিয়ে গেলে কৃষকরা নিঃস্ব হয়ে পড়েন। তাই এখানে জমিতে একাধিক ফসল আবাদ করতে হবে। সুনামগঞ্জের পতিত জমি কাজে লাগিয়ে ফসল আবাদে বৈচিত্র্য আনতে পারলে বোরো ধানের প্রতি কৃষকদের নির্ভরশীলতা কমবে।
বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জে সেচহীন বা স্বল্প সেচের মাধ্যমে গম, সরিষা, ভুট্টা, তিল, ছোলা, নানা জাতের ডাল, বাদাম, সূর্যমুখী ও মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা স্বপন কুমার সাহা প্রমুখ।