সেই গম নিতে বাধ্য না করার নির্দেশ স্থগিত
ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ২৬ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে বিতরণ করা গম ফিরিয়ে নেওয়া এবং কাউকে জোর করে না দেওয়ার ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ স্থগিত হয়ে গেল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ স্থগিতাদেশ দেন।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে ওই দিন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও রিটকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানিতে অংশ নেন।
গতকাল বুধবার ব্রাজিল থেকে আমদানি কর গম সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ কাউকে জোর করে দেওয়া যাবে না এবং আগেই কেউ এটি কিনে থাকলে বা কাউকে দেওয়া হলে তা যদি তারা ফেরত দিতে চায়, তাহলে সরকারকে তা ফেরত নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
সম্প্রতি ব্রাজিল থেকে আনা গমের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘দেখতে খারাপ’ এসব গম খাবারের অনুপযোগী।
তবে গত ২১ জুন জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম দাবি করেন, খাদ্য অধিদপ্তরে নিম্নমানের গম আমদানির বিষয়ে যেসব কথাবার্তা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।
গত ২৪ জুন ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের পুনঃপরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, পচা বা মানুষের খাবার অনুপযোগী কোনো গম পাওয়া যায়নি।
এর পর ২৯ জুন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পচা গম আমদানি করা হয়েছে দাবি করে তা তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। পরে ৩০ জুন এই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম খাওয়ার উপযুক্ত কি না, তা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। গত ৫ জুলাই গমের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, এটি খাওয়ার উপযোগী। তবে এতে কিছু কীটপতঙ্গ থাকলেও তা স্প্রে করলে চলে যাবে।