পাঁচ টাকার খিরায় লাখ টাকা খোয়া
ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী দুটি নৈশকোচে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন ছয় যাত্রী। চুয়াডাঙ্গার ওই ছয় যাত্রীর নগদ লক্ষাধিক টাকা ও মোবাইল ফোন, মূল্যবান জিনিসপত্রসহ সর্বস্ব খোয়া গেছে বলে জানিয়েছেন। অসুস্থ ছয় যাত্রী বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভুক্তভোগীদের দাবি, পরিবহনের তত্ত্বাবধায়ক, চালক ও চালকের সহকারী অজ্ঞান পার্টির সঙ্গে জড়িত।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগীরা জানান, বুধবার মধ্যরাতে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী পূর্বাশা ও রয়েল পরিবহনে উঠলে সেখানে (গাবতলীতে) কয়েকজন হকার খিরা বিক্রি করতে ওঠে। ওই খিরা কিনে খাওয়ার পরই তাঁরা সবাই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা চলন্ত গাড়ির ভেতরে যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে নেমে যায়। এ সময় বাসের কর্মচারীরা তাঁদের কোনো প্রকার খোঁজখবর নেননি বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। এ ছাড়া বাস দুটি চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছানোর পরেও পরিবহন কর্তৃপক্ষ কোনো খোঁজ নেয়টি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরে অন্য যাত্রীরা আক্রান্তদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) কামরুজ্জামান খান জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুটি নৈশকোচ চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছালে ছয়জন যাত্রীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। বাস থেকে উদ্ধার করে ওই ছয় যাত্রীকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে জানা যায়, গাবতলী থেকে খিরা কিনে খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই যাত্রীরা।
ওসি কামরুজ্জামান খান আরো জানান, এ ঘটনায় কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মাসুদ আহমেদ রানা জানিয়েছেন, ‘চেতনানাশক ওষুধ খেয়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তবে আক্রান্তদের সবাই বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত আছেন।’