বানভাসী মানুষদের নিয়ে দুষ্টামি করবেন না : মায়া
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘এই বানভাসী মানুষদের নিয়ে কেউ রাজনীতি করবেন না। কোনো রকম দুষ্টামি করবেন না।’ তিনি আরো বলেন, ‘দুর্গত মানুষের কষ্টের জিনিস নিয়ে যদি কেউ ছিনিমিনি করে, দুর্নীতির আশ্রয় নেন, তাকে ক্ষমা করা হবে না।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী সিন্দুর্না এলাকার নদীভাঙন পরিদর্শন ও বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ত্রাণমন্ত্রী।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘কে কোন দল সেটা ব্যাপার না। সবাইকে আসার জন্য আমি অনুরোধ করতে চাই। এই দুঃসময়ে যত কষ্টই হোক জনগণের পাশে থাকা দরকার। কিন্তু আজ আমরা দেখছি অজুহাত দেখিয়ে অনেকে বিদেশে চলে গিয়েছে। দুঃস্থ মানুষের কথা ভাবেন না, নিজের কথা ভাবেন। কীভাবে আখের গোছাবেন, কীভাবে আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়া যায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এই বানভাসী মানুষ নিয়ে কেউ রাজনীতি করবেন না। কোনো রকম দুষ্টামি করবেন না। আর ত্রাণসামগ্রী নিয়ে কোনো রকম যেন কথা না উঠে সেদিকে আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে। দুর্গত মানুষের কষ্টের জিনিস নিয়ে যদি কেউ ছিনিমিনি করে, দুর্নীতির আশ্রয় নেন, তাকে ক্ষমা করা হবে না।’
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একজন বানভাসীও না খেয়ে থাকবে না। আমরা সেজন্যই কাজ করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বীরের জাতি। আমরা দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে জানি।’
পরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সিন্দুর্ণা লোকমান হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট ১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমী, লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারমান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ এনামুল কবির, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান ও সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূরল আমিন।
এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিশেষ সভায় বন্যায় আপৎকালীন মজুদ হিসেবে ১০০ টন চাল, দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন মন্ত্রী। পাশাপাশি নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৫০০ বান্ডেল টিন ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ারও কথা জানান ত্রাণমন্ত্রী।