সেই রাজন পিস্তলসহ গ্রেপ্তার
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার আলোচিত বখাটে আব্দুল আওয়াল রাজনকে (২৭) দুটি পিস্তল, ম্যাগাজিন, সাতটি গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার তমালতলা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদকারী ও সারা দেশে আলোচিত কলেজশিক্ষক মিজানুর রশিদ হত্যা মামলায় রাজনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। তবে ওই মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন।
র্যাব-৫ রাজশাহীর বাগমারা ক্যাম্পের কমান্ডার জামাল আল নাসের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা বাজারে অস্ত্র ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল রাজনের কাছে ক্রেতা সেজে অস্ত্র কিনতে যান র্যাব সদস্যরা। এ সময় অস্ত্র কেনাবেচার সময় হাতেনাতে দুটি বিদেশি পিস্তল, সাতটি গুলি, দুটি ম্যাগাজিনসহ রাজনকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা।
র্যাব কমান্ডার আরো জানান, ২০১০ সালে আব্দুল আওয়াল রাজন লোকমানপুর কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করলে এর প্রতিবাদ করেন কলেজের রসায়নের প্রভাষক মিজানুর রশিদ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরে রাজন ও তাঁর সহযোগী মামুনুর রশীদ আসিফ ওই বছরের ১২ অক্টোবর কলেজশিক্ষক মিজানুরের ওপর মোটরসাইকেল তুলে দেন। এতে তিনি মাথা, বুক ও চোখে গুরুতর আঘাত পান। অবশেষে ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) মিজানুরের মৃত্যু হয়। হামলার ১৬ দিন পর রাজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় শিক্ষক মিজানুরের মৃত্যুতে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
পরে কলেজশিক্ষকের পরিবারের করা মামলায় রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রাজন ও আসিফকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করার পর জামিনে মুক্তি পান রাজন।
র্যাব জানায়, জামিনের পর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র ব্যবসা করে আসছিলেন রাজন। তা ছাড়া রাজনের বিরুদ্ধে বাগাতিপাড়া থানায় স্থানীয় তমালতলা কৃষি ও কারিগরি কলেজের ছাত্র দোহাকে হত্যার অভিযোগেও মামলা রয়েছে।