আ. লীগের দুই নেতার দ্বন্দ্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় আজ বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের দুই নেতার দ্বন্দ্বে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁদের সমর্থকরা। পরে এক পক্ষের লোকজন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে প্রায় চার ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও ছাতক পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। তাঁদের দ্বন্দ্বের কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। আজ ছাতক উপজেলা পরিষদে নিয়মিত মাসিক সমন্বয় সভায় অংশ নেন দুই পক্ষের জনপ্রতিনিধিরা। দুপুরে সভা শেষে সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের সমর্থক উত্তর খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ ও ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর সমর্থক সিংচাইড় ইউপি চেয়ারম্যান সাজাব উদ্দিন মোহাম্মদ সাহেলের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর হাতাহাতি হয়। ওই সময় পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে মিটমাটের চেষ্টা করে।
তখন গুজব ছড়িয়ে পড়ে উপজেলা পরিষদের ভেতরে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লালকে আটকে রাখা হয়েছে। এই খবর শুনে সংসদ সদস্য মানিক ও বিল্লালের সমর্থকরা ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নেয়। তারা রেললাইনের ব্যারিকেড বার ফেলে দিয়ে সড়ক অবরোধ করে এবং বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এতে রাস্তার দুই পাশে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। পুলিশ এসে লোকজনকে বোঝানোর পর বিকেল ৬টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. নাছির উল্লাহ খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয় সভা ছিল। সেখানে উপজেলার সব বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকতা, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। সমন্বয় সভা শেষে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপর খবর পেয়েছি, একপক্ষ গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে কর্মসূচি পালন ও স্লোগান দিয়েছে।’
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ জানান, সমন্বয় সভায় ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে একপক্ষ সড়ক অবরোধ করে। সুনামগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।