বাসর রাতে নিখোঁজ, সকালে মিলল হাত-পা বাঁধা লাশ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালুজুড়ি গ্রামে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় এক বরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বাড়ির কাছে মরা গাঙে জাল ফেলে বর সুয়েব মিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত সুয়েব মিয়া বালুজুড়ি গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও বালুজুড়ি গ্রামের লোকজন জানায়, রোববার সুয়েব মিয়ার বিয়ে হয়। পরদিন সোমবার দুপুরে সুয়েব মিয়ার বৌ-ভাত সম্পন্ন হয়। ওই দিন রাতে নবদম্পতির বাসর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাত ১০টার দিকে সুয়েব তাঁর মাকে বলে বাইরে যান। পরে রাত বাড়তে থাকলেও সুয়েব ঘরে ফেরেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও পাননি। ভোরে সুয়েবের বাবা শুকুর আলী ফজরের নামাজের জন্য অজু করতে এসে বাড়ির কাছে মরা গাঙের ঘাটে আসেন। তিনি সেখানে সুয়েবের স্যান্ডেল দেখতে পান। সন্দেহবশত বাড়ির লোকজন মরা গাঙের বিভিন্ন স্থানে জাল ফেলেন। একপর্যায়ে সুয়ের মিয়ার মরদেহ জালে আটকায়। এ সময় সুয়েব মিয়ার হাত, পা ও মুখ বাঁধা ছিল। খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে জেলা পুলিশ সুপার মো. বরকত উল্লাহ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
লাশের আলামত দেখে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। সুয়েব মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালুজুড়ি গ্রামের বাড়িতে বর সুয়েব মিয়ার স্বজনদের আহাজারি। ছবি : এনটিভি
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দন কান্তি ধর বলেন, সুয়েবের সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ ছিল না বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। সোমবার দুপুরে সুয়েব মিয়ার বৌভাত সম্পন্ন হয়। বাসর রাতেই তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। সকালে মরা গাঙে জাল ফেলে তাঁর হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়।’
জেলা পুলিশ সুপার মো. বরকত উল্লাহ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, লাশের আলামত দেখে প্রাথমিক পর্যায়ে ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত ছিল। কোনো বিরোধের কারণে সুয়েবকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পুরো ঘটনা জানা যাবে।