সেই গম বিতরণে নিষেধাজ্ঞা
ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম বিতরণে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে গম নিয়ে চেম্বার বিচাপতির দেওয়া স্থগিতাদেশ দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।
urgentPhoto
আজ রোববার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের বেঞ্চ এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি স্থগিতাদেশ বাড়ানোর জন্য সময় আবেদন করলে আপিল বিভাগ শুনানি শেষে স্থগিতাদেশ বাড়ানোর পাশাপাশি বিতরণের জন্য রাখা বাকি গম বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দেন।
এর আগে গত ৯ জুলাই ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ২৬ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগ। ওই দিন দুপুরে এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ স্থগিতাদেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ওই দিন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, রিটকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানিতে অংশ নেন।
৮ জুলাই ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ কাউকে জোর করে দেওয়া যাবে না এবং আগেই কেউ এটি কিনে থাকলে বা কাউকে দেওয়া হলে তা যদি তারা ফেরত দিতে চায়, তাহলে সরকারকে তা ফেরত নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
সম্প্রতি ব্রাজিল থেকে আনা গমের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, 'দেখতে খারাপ' এসব গম খাবারের অনুপযোগী। তবে গত ২১ জুন জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম দাবি করেন, 'খাদ্য অধিদপ্তরে নিম্নমানের গম আমদানির বিষয়ে যেসব কথাবার্তা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।'
২৪ জুন ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের পুনঃপরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, পচা বা মানুষের খাবার অনুপযোগী কোনো গম পাওয়া যায়নি। এর পর ২৯ জুন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পচা গম আমদানি করা হয়েছে দাবি করে তা তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজবী পাভেল মিয়া।
৩০ জুন এই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম খাওয়ার উপযুক্ত কি না, তা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ৫ জুলাই গমের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, এটি খাওয়ার উপযোগী। তবে এতে কিছু কীটপতঙ্গ থাকলেও তা স্প্রে করলে চলে যাবে।