ডায়রিয়া-নিউমোনিয়া নিয়ে বহু শিশু হাসপাতালে ভর্তি
সুনামগঞ্জে শিশুদের মধ্যে বন্যা-পরবর্তী রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। এসব রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শুধু শিশু ওয়ার্ডেই এই দুই রোগে আক্রান্ত শতাধিক শিশু ভর্তি আছে। এ ছাড়া প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে দেড় থেকে ২০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা এবং নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে গড়ে শতাধিক শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। সাম্প্রতিক বন্যার পর জেলায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ জন্য ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শিশুর চাপ বেশি। প্রতিদিন চিকিৎসা নিয়ে ১৫ থেকে ২০জন শিশু বাড়ি ফিরে গেলেও নতুন রোগী এসে ভর্তি হয়ে শূন্যস্থান পূরণ করছে।
এদিকে রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতাল ও শিশু ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন রাখতেও হিমশিম খাচ্ছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
সদর হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মনিহার জানান, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে এই কদিনে অনেক বেশি শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। প্রতিদিন নিয়মিত পরিষ্কার করলেও রোগীর চাপে দ্রুত নোংরা হয়ে যাচ্ছে পরিবেশ।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ২৫৪ জন রোগী ভর্তি আছে তার মধ্যে শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৫০ জন ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৪০ জন ভর্তি আছে। সেই সঙ্গে বহির্বিভাগে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিনশ রোগী চিকিৎসা নিয়ে যায়। এখন এর মধ্যে শুধু শিশু রোগীর সংখ্যা দেড় থেকে দুইশ।
মূলত বন্যা-পরবর্তী সময়ে ডায়রিয়া ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু বেশি ভর্তি হচ্ছে বলেও জানান এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকায় শিশুদের চিকিৎসাসেবা ভালোমতো দেওয়া যাচ্ছে। এখনো কোনো শিশু মারা যায়নি। যত শিশুই আসুক না কেন তাঁরা সেবা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।