দিনাজপুরে বিএনপি-জামায়াতের ১৩ নেতা-কর্মী জেলে
সংখ্যালঘু নির্যাতনের মামলায় দিনাজপুরে জামায়াত-বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীকে আদালত জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সব নেতা-কর্মী দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. হোসেন শহীদের আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পরে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাঁদের জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, সদর উপজেলার কর্ণাই গ্রামে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক মামলার আসামি এঁরা। তাঁরা এত দিন পলাতক ছিলেন।
এঁরা হচ্ছেন বিএনপির রফিকুল ইসলাম (৪০), ফারুক হোসেন (২৭), জালাল মেম্বার (৪০), রেজু (২২), মুনু মিয়া (২৬), ময়নুল ইসলাম (৩৩), সারওয়ার হোসেন (৩৫), বাবু মিয়া (২০), শাহিন আলম (২২) এবং জামায়াতের আনিসুর রহমান (৩৮), ইউসুফ আলী (৪০), আব্দুর রাজ্জাক (৪২) ও আব্দুর রহিম (৪০)।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের দিন সদর উপজেলার কর্ণাই গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা, লুটতরাজ, ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কার্তিক চন্দ্র বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ঘটনার পরের দিন মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এ মামলায় ৮৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।