বৃষ্টি-ঝড়ো বাতাসে সুনামগঞ্জ অন্ধকারে
বৈরী আবহাওয়া ও ঝড়ো বাতাসে বিদ্যুতের প্রধান লাইনে বাঁশ ও গাছপালা পড়ে সুনামগঞ্জ জেলার বেশিরভাগ উপজেলায় প্রায় নয় ঘন্টা ধরে বিদ্যুত বিছিন্ন হয়ে পড়ে।
দিনভর বিদ্যুতহীন থেকেছেন জেলার প্রায় এক লাখ ২০ হাজার বিদ্যুত গ্রাহক। সন্ধ্যার আগেই হাট-বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে মিল-কারখানাও বন্ধ রয়েছে। কখন বিদ্যুত স্বাভাবিক হবে বলা যাচ্ছে না।
গতকাল শনিবার সকাল থেকেই পল্লী বিদ্যুৎ ও আবাসিক বিদ্যুত বিভাগে থেমে থেমে চলছিল লোডশেডিং। এরপর দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত টানা নয় ঘণ্টা ছাতক উপজেলা ও ধর্মপাশা ছাড়া সব উপজেলা বিদ্যুতহীন থাকে।
ঘটনাস্থলে থাকা সুনামগঞ্জ আবাসিক বিদ্যুত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মাসুম জানান, ‘দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে, সুনমাগঞ্জ বিদ্যুতবিছিন্ন হয়ে পড়ে। সিলেট থেকে আসা ৬০কি.মি বিদ্যুত লাইনের ছাতকের পরে কোন এক জায়গায় ছিঁড়ে গেছে। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বেশিরভাগ জায়গাজুড়ে হাওর ও পানি থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে ফল্ট পাওয়া মাত্রই লাইনে বিদ্যুত স্বভাবিক হয়ে যাবে।’
সুনামগঞ্জ আবাসিক বিদ্যুত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সেলিম জানান, শনিবার ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ছাতক-সুনামগঞ্জের ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইনে বাঁশ ও গাছ-গাছালি উপড়ে পড়ে বিদ্যুত সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে। এ কারণে, সারা জেলায় পল্লী বিদ্যুত সমিতির প্রায় ১ লাখেরও বেশি এবং জেলা শহর ও আশপাশের এলাকার প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুত পাচ্ছেন না। ঝড়ো বাতাস বন্ধ না হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করা কঠিন হবে। তবে কখন বিদ্যুত স্বাভাবিক হবে বলা যাচ্ছে না।