হাওরের ফসল রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব করা হবে
হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়েছে, এটাই দেখতে চান পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেছেন, কে কী করল সেটি নয়, বাঁধের কাজ সময়মতো শেষ করতেই হবে। আমি সেটাই দেখতে চাই। আমাদের চেষ্টায় যেন কোনো ত্রুটি না থাকে। বাঁধের নির্মাণ কাজে কোনো সমস্যা থাকলে সেটি সমাধান করার দায়িত্ব আমার।
বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বন্যা পরবর্তী হাওররক্ষা বাঁধ মেরামত ও সংরক্ষণ বিষয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় পানিসম্পদমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন এই সভার আয়োজন করে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, গত মৌসুমে হাওর এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে, সেই সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমেছে। তাই বাঁধের উচ্চতা ঠিক থাকলেও অনেক বাঁধ উপচে হাওরে পানি ঢুকে পড়ে। একই সঙ্গে বাঁধের পাশ থেকে মাটি কাটায় কিছু বাঁধ দুর্বল হয়েছিল। এবার বাঁধের পাশ থেকে কোনো মাটি তোলা যাবে না। হাওরের ফসল রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের (সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সিলেট-২ আসনের (বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ, ‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, হাওর ও পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা, জাতীয় পার্টির নেতা রশিদ আহমদ প্রমুখ।
পানিসম্পদমন্ত্রী এর আগে সকালে সুনামগঞ্জের শনির হাওর, হালির হাওর, সোনামড়ল হাওর ও জোয়ালভাঙা হাওর পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বাঁধের নির্মাণ কাজ নিয়ে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সুনামগঞ্জে গত মৌসুমে হাওরে ব্যাপক ফসলহানির পর বাঁধ নির্মাণে নতুন নীতিমালা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এবার হাওরের সব বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে হবে। বাঁধের কাজ থেকে বাতিল করা হয়েছে ঠিকাদারি প্রথা। নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধ নির্মাণের সময়সীমা হলো ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি।