মামলা করে ফেরার পথে নৌকায় গর্ভপাত
বরগুনায় ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরীর (১৫) গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে পায়রা নদীতে যাত্রীবাহী খেয়ায়। গতকাল শনিবার বরগুনার তালতলী উপজেলার বগী-চালিতাতলী পথে খেয়া নৌকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অসুস্থ ওই কিশোরী বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের দুই সন্তানের জনক আনোয়ার শিকদার (৩০) গ্রামের দরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরীকে চার থেকে পাঁচ মাস আগে কৌশলে তার খালি বাড়িতে ডেকে এনে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর কখনো হুমকি কখনো বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে আনোয়ার শিকদার।
লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন করে ভুক্তভোগীর পরিবার। এরপর স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের টালবাহানায় কেটে যায় দিনের পর দিন। পরে সামাজিক অপবাদের মুখে ভুক্তভোগীর পরিবার গত শনিবার সকালে এ বিষয়ে অভিযোগ করতে ওই কিশোরীকে নিয়ে তালতলী থানায় যায়। তালতলী থানায় মামলা দায়েরের পর থানা থেকে ফেরার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে শনিবার বিকেলে পায়রা নদীর বগী-চালিতাতলী পথে যাত্রীবাহী খেয়া নৌকায় তার গর্ভপাত হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে ওই কিশোরী বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আখতার বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কিশোরীর স্বাস্থ্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. কামরুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, নানা কারণে ওই কিশোরীর আংশিক গর্ভপাত হয়েছিল। হাসপাতালে আনার পর বাকি গর্ভপাত (ডিএনসি) করা হয়। সে এখন সুস্থ।