পানিতে বান্দরবান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
টানা দুইদিনের অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সঙ্গে জেলাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ভারি বর্ষণে পাহাড় থেকে নেমে আসা মাটিতে প্রধান সড়কে মাটি জমে যাওয়ায় কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ ছাড়া জেলা সদরের পুলপাড়া বেইলি ব্রিজ ডুবে যাওয়ায় বান্দরবান-রাঙামাটি অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, গত বুধবার থেকে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের বাজালিয়ার বরদুয়ারা, আমতলসহ কয়েকটি স্থানে প্রধান সড়কে তিন-চার ফুট পানি জমে গেছে। এতে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বান্দরবান।
জেলা সদরের পূরবী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মোহাম্মদ মহসিন জানান, বৃষ্টিতে বাজালিয়া সড়কে পানি জমে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার পর থেকে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর বালাঘাটায় বেইলি ব্রিজ ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটির সঙ্গেও বান্দরবানের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তুমুল বর্ষণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বান্দরবানের জনজীবনও। জেলা শহরের মেম্বারপাড়া, আর্মিপাড়া, শেরে বাংলানগর, বালাঘাটা, ইসলামপুর, উজানীপাড়া, মধ্যমপাড়া এবং লামা, রুমা, থানছি উপজেলায় কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা দুর্গত অঞ্চলের শত শত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে জানান, অবিরাম বর্ষণে বান্দরবানে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলা শহর ছাড়াও লামা, রুমা, থানছি এবং আলীকদম উপজেলায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত ঘরবাড়ি। ভারি বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পেয়েছে নদীর পানিও। সাঙ্গু ও মাতামহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যাদূর্গতদের জন্য সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।