এবার প্রধানমন্ত্রী টাকাও দিয়েছেন, মাস্তানও পাঠিয়েছেন
এ বছর হাওরাঞ্চলের ফসল রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার হাওরের ফসল রক্ষার জন্য টাকাও দিয়েছেন, মাস্তানও পাঠিয়েছেন।’
আজ বুধবার দুপুর দেড়টায় সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় পানিসম্পদমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবার হাওরের ফসল রক্ষার জন্য টাকাও দিয়েছেন, মাস্তানও পাঠিয়েছেন। প্রথম মাস্তান আমি, এরপর সচিব, আর প্রতিমন্ত্রী তো আছেনই। আমরা চেষ্টা করেছি। বলেছিলাম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সুনামগঞ্জে নিয়ে আসব। সেটি করেছি।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আপনাদের মুখে চন্দন ফুটুক। আল্লাহতায়ালা আপনাদের কথা শুনুক। কোনো বান-বন্যা, যেন এসে আমাদের এই ফসলগুলো নষ্ট না করে দেয়। সে জন্য আপনারা নিজেরা এবং বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনকে বলেন, তাদের ধানটা কেটে নেওয়ার জন্য। আগামী ১৫ তারিখের পর, যদি সম্ভব হয় ১৫ তারিখের মধ্যেই কেটে ফেললে ভালো হবে। জুয়া খেলবেন না। আরো ১৫ দিন রাখলে আরো ধান পাব, এই আশা করা ভালো না। ধান দেওয়ার মালিক আল্লাহ, ফসল দেওয়ার মালিক আল্লাহ। মানুষের পক্ষে যেটুকু করা সম্ভব, সেটুকু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কঠোর মনিটরিং ও নির্দেশে এবার হাওর রক্ষা বাঁধের জন্য করা হয়েছে।’
পানিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘মতবিনিময় সভায় সকলেই বলেছেন বাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিয়ে এখানকার মানুষের ধারণা ছিল, বর্ষার আগে টাকা দেয়, তিন মাসে সেই টাকা শেষ করে নেয়। এবার সেই দুর্নাম ঘোচানোর চেষ্টা হয়েছে।’
মন্ত্রী হাওরাঞ্চলের কৃষকদের বিআর-২৮সহ স্বল্প মেয়াদের ধান আবাদ করার আহ্বান জানান।
এই মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক, অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার বেগম শাহানা এমপি, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার, অতিরিক্ত সচিব ইউসুফ হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।