বড়াইগ্রামে স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ গ্রামে ইমন নামের এক স্কুলছাত্রকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ অভিযোগ পাওয়া যায়।
ইমন বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় তার সৎমা নাহিদা ও বাবা এমদাদুল হককে আটক করেছে পুলিশ। urgentPhoto
ইমনের মা কুলসুম বলেন, ‘ওরে (ইমন) গলাটিপ দে (দিয়ে) মাইরে ফালাইসে ওর ছোট মা (সৎমা)। আমারে দুই বছর ধইরে বাপের বাড়িতে ফালাই রাখসে।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কামারদহ গ্রামের এমদাদুল হকের বাড়িতে চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। সেখানে গিয়ে ইমনের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমনের বাবা ও সৎমাকে আটক করে। পরে লাশটি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ওসি আরো জানান, প্রায় দুই বছর আগে ইমনকে রেখে তার মা কুলসুমকে তাড়িয়ে দেয় এমদাদুল হক। এর পর থেকে সৎমা নাহিদা বেগমের কাছেই থাকত ইমন। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জি রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) শ্যামল কুমার মুখার্জি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে, এটা একটা হত্যাকাণ্ডের মতোই ঘটনা। শ্বাসরোধ করে তাকে (ইমন) হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে। তো, এটা আইনগতভাবে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এটা পোস্টমর্টেম (ময়নাতদন্ত) হবে। তার পরে সন্দেহভাজন যারা আছে, তারা আটক হবে। আমরা সেভাবেই তদন্ত করব।’
এসপি আরো বলেন, ‘শিশু হত্যার ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয়। আমরা মনে করি, যথাযথভাবে এটা তদন্ত করতে পারব এবং প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারব।’